হৃদরোগ প্রাণঘাতী একটি রোগ। কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকির বিষয়ে আগেই অবগত হতে পারলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু নতুন কিছু টেস্ট এর সমন্বিত ফলাফল আপনার হৃদরোগের সম্ভাবনার বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। যার মাধ্যমে আপনি আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন করে নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ ওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকেরা ৫ টি নতুন এবং সহজ টেস্ট এর কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো কার্ডিওভাস্কুলার রোগের পূর্বাভাস জানার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরী। স্বাস্থ্যবান কয়েকজন মানুষকে ১০ বছর যাবৎ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, যাদের এই টেস্টগুলোতে খারাপ স্কোর আসে তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিলো যাদের ভালো ফল আসে তাদের তুলনায়। চলুন তাহলে সেই ৫ টি টেস্টের বিষয়ে জেনে নিই।
১। ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম
হৃদপিন্ডের পেশীর বৈদ্যুতিক কার্যকারিতা মাপার একটি মান সম্মত পরীক্ষা হচ্ছে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (EKG )। এই পরীক্ষাটি করতে ৫-১০ মিনিট সময় লাগে এবং এটি অক্ষতিকর, ব্যথাহীন ও হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ের ভালো একটি উপায়। চিকিৎসক ১০ টি ছোট বিদ্যুৎবাহক বা ইলেকট্রোড আপনার বুকে ও বাহুতে লাগাবেন আপনার হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকারিতা মাপার জন্য। এর মাধ্যমে হৃদপিন্ডের অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন এবং হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত কোন লক্ষণ ধরা পরে। যারা ধূমপান করেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি যাদের, যাদের হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাদেরকে এই পরীক্ষাটি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
২। করোনারি ক্যালসিয়াম স্ক্যান
করোনারি ধমনীতে ক্যালসিয়ামের উচ্চমাত্রায় উপস্থিতি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে নির্দেশ করে। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজিস্ট’স নিউট্রিশন এন্ড লাইফস্টাইল ওয়ার্ক গ্রুপ এর সহকারী চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল জিউইস হেলথ এর পরিচালক এন্ড্রু এম ফ্রি ম্যান বলেন, যখনই করনারি ধমনীতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি দেখা যায় তখন বোঝা যায় যে এথেরোস্ক্লেরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, পুরুষদের বিশেষ করে যাদের বয়স ৭০ এর বেশি তাদের করোনারি ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।